তাই সঙ্গীদের নিয়ে দায়ূদ কিযীলায গেলেন| তাঁর সঙ্গীরা পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করল| যুদ্ধে তারা পলেষ্টীয়দের হারিয়ে তাদের গরু, মোষ সব দখল করে নিল| এভাবেই দায়ূদ কিযীলার লোকদের বাঁচালেন|
লোকরা শৌলকে বলল, “দায়ূদ এখন কিযীলায আছে|” শৌল বললেন, “ঈশ্বর দায়ূদকে আমার হাতেই দিয়েছেন| দায়ূদ নিজের জালেই নিজেকে জড়িয়েছে| সে এমন একটা শহরে গেল যেখানে অনেক ফটক এবং ফটক বন্ধ করার অনেক খিল আছে|”
শৌল কি কিযীলায আসবে? কিযীলায লোকরা কি ওর হাতে আমায় তুলে দেবে? হে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, আমি আপনার সেবক| দয়া করে আমায় বলুন!”প্রভু বললেন, “শৌল আসবে|”
তখন দায়ূদ সঙ্গীদের নিয়ে কিযীলা ছেড়ে চলে গেলেন| দাযূদের সঙ্গে ছিল 600 জন পুরুষ| 60 তারা বিভিন্ন জায়গায় চলে গেল| শৌল জানতে পারলেন দায়ূদ কিযীলা থেকে চলে গেছেন| তাই তিনি আর ওখানে গেলেন না|
সীফের বাসিন্দারা শৌলের সঙ্গে দেখা করতে গিবাযায় এল| তারা শৌলকে বলল, “দায়ূদ আমাদের দেশেই লুকিয়ে আছে| দায়ূদ যেশিমোনের দক্ষিণে হখীলা পাহাড়ের ওপর হোরেশের দুর্গে রযেছেন|
যাও, দায়ূদ সম্বন্ধে আরও খোঁজখবর করো| দেখ, কোথায় সে রযেছে, কে কে দায়ূদকে সেখানে দেখেছে| শৌল ভাবলেন, ‘দায়ূদ চালাক ও চতুর তাই হয়তো আমার সঙ্গে চালাকি করতে চাইছে|’
শৌল বললেন, “দাযূদের লুকোনোর সমস্ত জায়গা খুঁজে বের করো| তারপর ফিরে এসে আমাকে সমস্ত জানাও| জানার পর আমি তোমাদের সঙ্গে যাব| দায়ূদ এখানে থাকলে আমি তোমাদের সঙ্গে যাব| দায়ূদ এখানে থাকলে আমি তাকে খুঁজে বের করবই| যিহূদায় বাড়ী বাড়ী খোঁজ করলেও ওকে আমি পেয়ে যাব|”
শৌল তাঁর লোকদের নিয়ে দাযূদের খোঁজ করতে লাগলেন| কিন্তু এখানে লোকরা দায়ূদকে সাবধান করে দিল যে শৌল তাঁকে খুঁজছে| দায়ূদ যখন এটা শুনলেন তিনি মাযোন মরুভূমির ‘রক’ অঞ্চলে চলে গেলেন| এ খবর শৌলের কাছে পৌঁছে গেল| সেখানে দায়ূদকে ধরতে ছুটলেন|
একই পাহাড়ের একদিকে শৌল আর উল্টোদিকে দায়ূদ ও তাঁর সঙ্গীরা| দায়ূদ শৌলের কাছে থেকে পালিয়ে যাবার জন্য তীব্রবেগে ছুটছিলেন| শৌলও দায়ূদকে ধরবার জন্য সৈন্যদের নিয়ে পাহাড়ের চারিদিক ঘিরে ফেললেন|