দায়ূদ অহীমেলক যাজককে কহিলেন, রাজা একটী কর্ম্মের ভার দিয়া আমাকে বলিয়াছেন, আমি তোমাকে যে কার্য্যে প্রেরণ করিলাম ও যাহা আদেশ করিলাম, তাহার কিছুই যেন কেহ না জানে; আর আমি নিজের সঙ্গী যুবকদিগকে অমুক অমুক স্থানে আসিতে বলিয়াছি।
দায়ূদ যাজককে উত্তর দিলেন, সত্যই তিন দিন আমাদের হইতে স্ত্রীলোক পৃথক্ রহিয়াছে; আমি যখন বাহির হইয়া আসি, তখন যাত্রা সাধারণ হইলেও যুবকদিগের পাত্র সকল পবিত্র ছিল; অতএব অদ্য তাহাদের পাত্র সকল আরও কত না পবিত্র।
তখন যাজক তাঁহাকে পবিত্র রুটী দিলেন; কেননা সেই স্থানে অন্য রুটী ছিল না, কেবল উহা তুলিয়া লইবার দিনে তপ্ত রুটী রাখিবার জন্য যে দর্শন-রুটী সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে স্থানান্তরীকৃত হইয়াছিল, তাহাই মাত্র ছিল।
তাহাতে আখীশের দাসগণ তাঁহাকে কহিল, এ ব্যক্তি কি দেশের রাজা দায়ূদ নয়? লোকেরা কি নাচিতে নাচিতে উহার বিষয় পরস্পর গাহিয়া বলে নাই, “শৌল বধিলেন সহস্র সহস্র, আর দায়ূদ বধিলেন অযুত অযুত”?
আর তিনি উহাদের সাক্ষাতে বুদ্ধির বৈকল্য দেখাইলেন; তিনি তাহাদের কাছে ক্ষিপ্তের ন্যায় ব্যবহার করিতেন, দ্বারের কবাট আঁচড়াইতেন, ও আপন দাড়ির উপরে লালা ক্ষরিতে দিতেন।