ইস্রায়েলের লোকরা মিশর থেকে চলে আসার 480 বছরপরে এবং তাঁর রাজত্বের চার বছরের মাথায়, রাজা শলোমন ঈশ্বরের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন| এটি ছিল ঐ বছরের দ্বিতীয় মাস বা সিব মাস|
ঘরগুলো মন্দিরের দেওয়াল সংলগ্ন হলেও ঘরের কড়ি-বরগাগুলো মন্দিরের দেওয়ালের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল| মন্দিরের দেওয়ালটি ওপরের দিকে ক্রমশঃ সরু হয়ে উঠেছিল, অতএব এই ঘরগুলোর এক দিকের দেওয়াল ঠিক নীচের ঘরের দেওয়ালের থেকে সরু হয়ে গিয়েছিল| একদম নীচের তলার ঘরের প্রস্থ ছিল 5 হাত, মাঝের ঘরের প্রস্থ ছিল প্রায় 6 হাত এবং একেবারে ওপরের ঘরের প্রস্থ ছিল প্রায় 7 হাত|
দেওয়ালগুলো বানানোর জন্য মিস্ত্রিরা বড় পাথর ব্যবহার করেছিল| এই সব পাথর য়েখান থেকে আনা সেখানেই কেটে আনা হয়েছিল বলে মন্দির প্রাঙ্গণে হাতুড়ি, কুড়ুল বা কোন রকমের আওয়াজ পাওয়া য়েত না|
নীচের ঘরগুলোয় প্রবেশদ্বার ছিল মন্দিরের দক্ষিণ দিক থেকে| তারপর ভেতরে ঢোকার পর সিঁড়ি ওপরদিকে উঠে গিয়েছিল একতলা ও দোতলা পর্য়ন্ত এবং সেখান থেকে তিনতলা পর্য়ন্ত|
মন্দিরের পেছন দিকে 20 হাত দীর্ঘ একটি ঘর বানানো হয়েছিল| এই ঘরটি ছিল মন্দিরের পবিত্রতম স্থান| এই ঘরের দেওয়াল মেঝের থেকে ছাদ পর্য়ন্ত এরস কাঠে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল|
শলোমন ঘরটি আগাগোড়া বিশুদ্ধ সোনার পাত দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন| তিনি ঘরের সামনে ধূপধূনো দেবার জন্য একটি বেদী তৈরী করেছিলেন| তিনি বেদীটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন এবং তার চারপাশে সোনার হার জড়িয়ে দিয়েছিলেন| এছাড়াও ঘরটিতে সোনায মোড়া দুই করূব দূতের মূর্ত্তি ছিল|
মূর্ত্তি দুটোর প্রত্যেকটি ডানার দৈর্ঘ্য প্রায় 5 হাত করে অর্থাত্ ডানার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্য়ন্ত মূর্ত্তিদুটো ছিল প্রায় 10 হাত চওড়া| গর্ভগৃহের পাশাপাশি, সম দৈর্ঘ্যের এই মূর্ত্তি দুটো দাঁড় করানো থাকত|
মূল ঘরটিতে প্রবেশ করবার জন্যও তারা দরজা বানিয়েছিল| একটি চার কোণা দরজার কাঠামো বানানোর জন্য তারা জিতগাছের কাঠ ব্যবহার করেছিল| যা চওড়ায ছিল চার ভাগের এক ভাগ|
সেই কাঠামোয দেবদারু কাঠের দুটি দরজা বসানো হয়| এই প্রত্যেকটি দরজা আবার দুভাগে মুড়ে ভাঁজ হতো| এগুলোর ওপরেও একই রকম করূব দূতের ছবি খোদাই করে সোনায় মোড়া ছিল|
অর্থাত্ তাঁর একাদশ বছরের অষ্টম মাসের রাজত্বের সময় মন্দিরটির নির্মাণ কার্য়্য় শেষ হয়| য়ে ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সাত বছর সময় নিয়ে ঠিক সে ভাবে মন্দিরটি বানানো হয়েছিল|